হুজুর বনাম স্যার
হুজুর বনাম স্যার
আসুন, আমরা পীরগিরি বা পীরদের নয় কিছু আলোচনা করি। পীর বলতে একজন মুসলিম সাধু বা পবিত্র মানুষকে বোঝায়। পীর বা পীর (ফার্সি: پیر, lit. 'elder')[1] হল একজন সুফি আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের উপাধি।
ফার্সি শব্দ হতে পীর শব্দটি এসেছে। ফার্সিতে পীর শব্দের আভিধানিক অর্থ একজন বয়স্ক মানুষ। পীর শব্দদুটির পরিবর্তে অঞ্চলভেদে শাহ, পীরজাদা, ইত্যাদি পরিশব্দও ব্যবহার করা হয়।
তবে সুফীজম ধারা হতে পীরদের উৎপত্তি হয়েছে। পীরদেরকে মুসলিম ধর্মের একজন শিক্ষকও ভাবা হয় এবং তাদের অনুসারীদেরকে মুরিদ বলা হয়।
ইসলাম ধর্মের শরীয়াতের বাইরেও পীররা তাদের মুরিদদের মারেফাতের তালিম দেন। মূলত পীররা তাদের মুরীদদেরকে এ ব্যাপারটা শিখান যে কোন কোন পন্থা অবলম্বন করলে আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্টি পাওয়াও অতি সহজ হবে।
মুরীদদেরকে মারেফাত শেখানোর জন্য কোনো একজন বিশিষ্ট পীরের বিশেষ একটি পদ্ধতি রয়েছে । এটিকে তরিকা বলে। আবার একই তরিকার একাধিক পীরও থাকতে পারে ।
একজন পীরের মৃত্যুবরণের পর তার পুরুষ সন্তানদের মধ্য হতে একজন পীর নিযুক্ত হন। তবে পীরের নিজের সন্তানদের বাইরেও তার সম্মতিক্রমে কোনো একজন মুরিদ ওই পীরের খলিফা নিযুক্ত হতে পারেন। এ খলিফারা পীরের হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে পীরের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
পাক ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে বর্তমানে বিদ্যমান পীরদের পূর্বসুরীদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। মূলত ওই পীর সাহেবরাই এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটান।
পীর শব্দদুটির পরিবর্তে অঞ্চলভেদে শাহ, পীরজাদা, ইত্যাদি পরিশব্দও ব্যবহার করা হয়। উপমহাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন দেশেও পীরগিরির প্রচলন রয়েছে। মুরিদদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার জন্য পীররা কোনো পারিশ্রমিক নেন না।
তবে মুরিদরা তাদের পীরের দরগাহে যাওয়ার সময় পীরদের জন্য নানা রকম উপঢৌকন নিয়ে যান। যেমন ধান, চাল, তরিতরকারি, হাঁসমুরগী, গরুছাগল, মহিষ ভেড়া অথবা কিছু টাকা পয়সা ইত্যাদি।
পীরদের কর্মস্থল বা শিক্ষালয়কে দরগাহ বলে। মুরিদদের জন্য পীররা বছরের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বার্ষিক মাহফিলের আয়োজন করেন। এ সকল মাহফিলকে ওরশ বা বার্ষিক মাহফিল বলে।
এক থেকে তিনদিনের জন্য এ মাহফিল বা জলসার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মাহফিলের সব কয়টি দিন মুরিদরা বিনা পয়সায় পীরের দরগায় থাকা ও খাওয়ার সুযোগ পান।
সম্পর্কিত ভিডিও লিঙ্ক: https://studio.youtube.com/video/U0QC4YYWCNU/edit
.jpg)
No comments